গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা

গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশে ঘি প্রাচীনকাল থেকে খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত শীতকালে ঘি খাওয়ার প্রচলন বেশি দেখা যায় কারণ এটি শরীরে উষ্ণতা বাড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়। 

তবে অনেকেই জানেন না যে গ্রীষ্মকালেও ঘি খাওয়া বেশ উপকারী হতে পারে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এবং আধুনিক পুষ্টিবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে গরমে ঘি খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে।

পেজসূচিপত্র: গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা . 

ভূমিকা

এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ঘি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম জানতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করুন পড়ুন। 

গরমের সময় ঘি খাওয়ার উপকারিতা

শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক যদিও ঘি এক ধরনের চর্বি জাত খাদ্য তবুও আয়ুর্বেদ মতে এটি শরীরের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন আপনি গরমে অতিরিক্ত জলীয় অংশ হারান তখন ঘি শরীরের ভেতরের শুষ্কতা দূর করে হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের পীত দোষ কমিয়ে দেয় যা গরমে অতিরিক্ত বাড়ে এবং হজমের সমস্যা মাথা ব্যথা কিংবা রাগের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। 
 
হজম শক্তি বাড়ায় গ্রীষ্মকালে অনেক সময় হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। বেশি তাপমাত্রা ও গরমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে ফলে পাচনতন্ত্রের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। ঘি হজমে সহায়ক এনজাইমের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। প্রতিদিন এক চামচ ঘি ভাতের সঙ্গে খেলে গ্যাস অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও কমে যায়। 
 
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি এবং লবণ বেরিয়ে যায় যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। ঘি শরীরের কোষ আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে। এটি শরীরের কোষগুলো কে পুষ্ট করে একটু অভ্যন্তরীণ শক্তি যোগায়। 
 
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী গরমে রোদের তাপ এবং ধুলো বালির কারণে ত্বক ও চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হতে পারে। ঘি এটি প্রাকৃতিক মহেশচারাইজার হিসেবে কাজ করে যা ভেতর থেকে ত্বকে আদ্রতা দেয়। যারা গরমকালে ত্বকের খসখসে ভাব বা চুলের রুক্ষতা নিয়ে চিন্তিত তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ঘি খেলে উপকার পেতে পারে। 
দেহের শক্তি ও সহনশীলতা বাড়াই গরমে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ক্লান্তি ও অবসাদ বেড়ে যায়। ঘি প্রাকৃতিক ফ্যাট হিসেবে শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি যোগায়। এটি ধীরে ধীরে শক্তিতে পরিণত হয় বলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না এবং শরীর কর্মক্ষম থাকে। যারা দৈহিক পরিশ্রম করেন কিংবা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঘি একটি দারুণ শক্তিবর্ধক খাদ্য। 
 
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় ঘি তে থাকা অমেগা ৩-ফ্যাটি এসিড এবং অন্যান্য ভালো ফ্যাট মস্তিষ্কের কোষ কে পুষ্টি যোগায়। গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরমের ফলে অনেক সময় মাথা ভার লাগে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।এই সময় ঘি খেলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কিছুটা কমে এবং মনোযোগ বাড়ে। 
 
গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা ডিটক্সিফিকেশন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ঘি একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সি ফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে। গরমে ঘামের মাধ্যমে অনেক টক্সিন বের হলেও কিছু বিষাক্ত পদার্থ দেহে থেকে যায় যা ঘি দূর করতে সাহায্য করে। 
 
দৃষ্টিশক্তি ও চোখের যত্নে উপকারী গরমে চোখের শুষ্কতা জ্বালা বা ক্লান্তি খুব সাধারণ সমস্যা। ঘি চোখের জন্য উপকারী এটি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ভেতর থেকে চোখকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 

গরমের সময় ঘি খাওয়ার অপকারিতা

ঘি যা মূলত বিশুদ্ধ দুধের মাখন থেকে প্রস্তুত করা হয় প্রাচীন কাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এবং রান্নায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শক্তি উৎপাদন কারি এবং নানা উপকারিতা ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। তবে গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে ঘি খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষতিকর রয়েছে। যা আমাদের শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে ঘি খাওয়ার প্রধান কিছু অপকারিতা।
 
হজমে সমস্যা গ্রীষ্মকালে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। এই সময়ে ঘি খেলে শরীরে অভ্যন্তরীণ উত্তাপ আরো বাড়িয়ে দেয়। ঘি একটি ভারি খাদ্য উপাদান হওয়ায় এটি হজমে সময় নেয় । গরমে হজম শক্তি তুলনামূলক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ঘি হজম করতে সমস্যা হয়। এটি থেকে হতে পারে পেট ফাঁপা গ্যাস বুক জ্বালা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য।
 
শরীরে অতিরিক্ত গরম ভাব ঘি তেল জাতীয় এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ উপাদান যা শরীরের ভিতরকার তাপমাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। গরম কালে এই অতিরিক্ত গরম ভাব শরীরে অস্বস্তি মাথা ঘোরা ক্লান্তি এবং ঘাম বেশি হওয়ার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা হিট স্ট্রোক বা হিট এক্স হস্টনের ঝুঁকিতে আছেন তাদের জন্য ঘি খাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 
 
গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা ত্বকে ব্রণ এবং র‌্যাশ গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম এবং ধুলাবালি ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর সাথে ঘি খাওয়ার ফলে শরীরে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়লে ত্বকে ব্রণ র‌্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ত্বক তৈলাক্ত হলে সমস্যা আরো বাড়ে। 
 
ওজন বৃদ্ধি গরমকালের শরীর কম সক্রিয় থাকে কারণ অতিরিক্ত গরমে অনেকের শরীর চর্চা করতে পারেন না বা কম খাটেন। ঘি উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাদ্য। এই সময়ে ঘি খেলে অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরের জমতে থাকে ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। সুথূলতা কিংবা শরীর ভারী লাগা এ সময়ে সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। 
 
কোলেস্টেরলের সমস্যা ঘি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। গরমে ঘি খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য গ্রীষ্মকালে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। 
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি যদি শরীরে তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় এবং তা নিয়ন্ত্রণে না আসে তবে হিট স্ট্রোক হতে পারে। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরের ভেতরের উত্তাপ এতটা বেড়ে যেতে পারে যে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষ করে খালি পেটে ঘি খাওয়া এই ঝুঁকি আরো বাড়াই। 
 
ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা গরমকালে শরীর থেকে প্রচুর পানি ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ঘি শরীরকে আরো গরম করে তোলে ফলে ঘাম বেশি হয় এবং ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা তৈরি হয়। শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স নষ্ট হতে পারে যার ফলে ক্লান্তি মাথা ব্যাথা বমিও হতে পারে। 
 
গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা শিশু ও বয়স্কদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শিশু এবং বৃদ্ধদের শরীর তুলনামূলক ভাবে দুর্বল ও সংবেদনশীল। গরমে ঘি খেলে তাদের শরীরে এই অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারে না। ফলে তাদের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়রিয়া বমি হজমে সমস্যা কিংবা জ্বর। 
 
ঘি আমাদের খাদ্য তালিকায় একটি পুষ্টিকর উপাদান হলেও গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত বা ভুলভাবে এটি খাবার ফলে শরীরে নানারকম অপকারিতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই হজমের সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ ত্বকের সমস্যা বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য গরমে ঘি খাওয়া একেবারে এড়ানো উচিত। সচেতন থাকুন গরমে সুস্থ থাকুন। 

গরমের সর্ময় ঘি খাওয়ার নিয়ম 

ঘি আমাদের খাদ্য সংস্কৃতি একটি অমূল্য অংশ। এটি শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়াই না বরং পুষ্টিগুনেও  পরিপূর্ণ। যদিও অনেকেই মনে করেন গরমকালে ঘি খাওয়া উচিত নয় আসলে সঠিক নিয়মে ও পরিমাণে খেলে ঘি এই মৌসুমেও দেহের উপকার করে তবে এর জন্য কিছু নিয়ে মেনে চলা জরুরী। 
 
গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা পরিমাণের প্রতি সচেতনতা গরমকালে শরীরের বিপাক ক্রিয়া কিছুটা ধীর হতে পারে ফলে ভারী খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই দিনে ১-২ চা চামচের বেশি ঘি না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত ঘি হজমে সমস্যা গ্যাস্ট্রিক কিংবা শরীরের অতিরিক্ত গরম ভাব তৈরি করতে পারে। 

কখন খাবেন 

ঘি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালের দিকে বিশেষ করে খালি পেটে বা হালকা নাস্তার সাথে। এতে হজমের উন্নতি হয় এবং সারাদিনের জন্য শক্তি বজায় থাকে। দুপুরে ভাত বা রুটির সাথে অল্প ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলায় ভালো কারণ রাতে হজম প্রক্রিয়া আরো কম থাকে। 
 
কিভাবে খাবেন গরমে সরাসরি ঘি খাওয়ার পরিবর্তে তা খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। ভাত রুটি খিচুড়ি বা দুধের সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে খেলে তা সহজে হজম হয়। চাইলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ঘি ব্যবহার করতে পারেন এতে হজম আরো সহজ হবে। 
 
শরীরের অবস্থা বুঝে খাওয়া যাদের শরীরের ইতিমধ্যে অতিরিক্ত গরম ভাব (পিত্তদোষ) রয়েছে তাদের গরমকালে কি খাওয়া আরও নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত। তবে যাদের শুকনো ত্বক দুর্বলতা বা ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা আছে তাদের জন্য অল্প পরিমাণে ঘি খাওয়া উপকারী। ঘি শরীর ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করে বিশেষ করে বিশুদ্ধ গরুর দুধের তৈরি ঘি। 
গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা ঘি এর গুণগত মান গরম কালে খাওয়ার জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ দেশি ঘি নির্বাচন করা উচিত। বাজারে চলতি ভেজাল বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতি ঘি শরীরের ক্ষতি করতে পারে। বাড়িতে বানানো ঘি সবচেয়ে ভালো। চাইলে অর্গানিক বা আযর্বেদিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
 
পানির সাথে সমন্বয় গরমকালে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ঘি খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। এটা শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং ঘি থেকে কোন অতিরিক্ত গরম ভাব তৈরি হবে না। 
 
সঠিক নিয়ম ও পরিমিত ভাবে ঘি খেলে গরমকালেও এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়ে উঠতে পারে। ঘি শরীরের শক্তি যোগায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও চুলের সুস্থতা বজায় রাখে। তবে সব সময় মনে রাখতে হবে যে কোন সুপারফুডের মতো ঘিও পরিমিত এবং সময়োচিত ভাবে গ্রহণ করায় মঙ্গলজনক। তাই গরমের দিনে ঘি খাওয়ার সময় নিজের শরীরের সংকেত শুনুন এবং প্রয়োজন মতো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

শেষ কথা 

গরমে ঘি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা গরমকালে মানেই ক্লান্তি জলের অভাব ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়া। এ সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘি শুধু শরীরকে পুষ্টি দেয় না বরং গরমের প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। অতএব সীমিত পরিমানে ও সঠিকভাবে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে গরমকালেও সুস্থ থাকা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url